1. scka.tk@gmail.com : sckabd :

সংবিধান পড়ুন

বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
✷✷ স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন ✷✷
(গঠনতন্ত্র)


**ধারা০১ প্রতিষ্ঠাঃ
স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন একটি ‘অরাজনৈতিক ও সেচ্চাসেবী সামাজিক ফোরাম’ ২০১৭ সালে বাংলাদেশের পূর্ব-দক্ষিণ অঞ্চলের কক্সবাজার জেলা, টেকনাফ উপজেলা, বাহারছড়া ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হয়।

**ধারা০২ সংগঠনের নামকরনঃ
“স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন” ইংরেজীতে “Sapnachaya Chatra Kallhan Association” নামে অভিহিত হবে। সংস্থার স্লোগান হবে- “স্বপ্ন পূরণের প্রথম সিড়ি” ও “অদম্য তারুন্যের অহিংস মিল আজ, গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সুশীল সমাজ”

**ধারা০৩ মনোগ্রামঃ
স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশনের নিজস্ব মনোগ্রাম থাকবে।

**ধারা ০৪ লক্ষ্য ও কার্যক্রমঃ
স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন , এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার কাঙ্খিত পরিবর্তন সাধনের জন্য স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে, আত্ননির্ভরশীল সুখী ও সমৃদ্ধশালী অবক্ষয়মুক্ত সমাজ গঠন করা। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া সমাজের শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক পরিবর্তনে সমন্বিত প্রচেষ্টায় উন্নয়ন কর্মসূচি বা প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন কাঠামো সংস্থার উদ্দেশ্যের আলোকে নির্ধারণ করা হবে। ইহা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নমুলক, সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছায় মানব সেবার ফোরাম। এই ফোরাম সমাজের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত হবে এবং সর্ব শ্রেণীর উন্নয়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

⇨ ‘প্রতিভাবান হাফেজের সন্ধানে’ হিফজুল
কোরআন প্রতিযোগিতা
⇨ মাধ্যমিক পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতা
⇨ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
⇨ জনসচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন
⇨ ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি
⇨ রক্তদান কর্মসূচি
⇨ বৃক্ষরোপন অভিযান
⇨ ইফতার মাহফিল
⇨ প্রাথমিক (৩য় ও ৪র্থ) ও ইবতেদায়ী (৩য় ও ৪র্থ)
শ্রেণীর বৃত্তি পরিক্ষার আয়োজন
⇨ এসএসসি/দাখিল, এইচএসসি / আলিম কৃতি
শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

**ধারা ০৫ সংস্থার ধরণঃ
() “স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন” সামাজিক ফোরাম সম্পূর্ণ স্বাধীন, সামাজিক, সেচ্ছাসেবী, সাংস্কৃতিক ও অরাজনৈতিক মনোভাবসম্পন্ন ফোরাম। এই ফোরাম অন্য কোন ফোরামের  অঙ্গ-সংগঠন হিসেবে কাজ করবে না বরং ভবিষ্যতে বিভিন্ন গ্রামে আমাদের শাখা গঠন করা হবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হবে।()”স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন” সেচ্চাসেবী ফোরাম একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ফোরাম। এই ফোরামের কোন সদস্য যদি ফোরামের বিভিন্ন কর্মকান্ডকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করেন বা করার চেষ্টা করেন তবে তাকে কার্যনির্বাহী পরিষদ বহিষ্কারের ক্ষমতা রাখে।**ধারা ০৬ সংগঠনের কার্যালয়ঃ
স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের   কার্যালয় বর্তমানে অস্থায়ী, ভবিষ্যতে বাহারছড়া ইউনিয়নের যেকোনো জায়গায় স্থায়ী ভিত্তিতে কার্যালয়  স্থাপিত হবে। ফোরামের আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধি সাপেক্ষে  উপজেলা সদর বা যে কোন সুবিধাজনক স্থানে নিজস্ব অথবা ভাড়া করা ভবনে সংগঠনের কার্যালয় স্থাপন করা হবে।

**ধারা ০৭ সদস্য হবার শর্তাবলীঃ
(১) প্রত্যেক সদস্যকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে
হবে।

(২) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের সদস্য হবার নূন্যতম বয়স ১৪
বছর। এবং জেএসসি / জেডিসি পরিক্ষা
সম্পন্ন করতে হবে।

(৩) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের সদস্যকে অবশ্যই যেকোনো
প্রতিষ্ঠানের ছাত্র এবং বাংলাদেশি নাগরিক
হতে হবে।

(৪) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের সদস্যকে অবশ্যই উন্নত চরিত্রের
অধিকারী হতে হবে।

(৫) প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি মাসে কার্যনির্বাহী
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাসিক সেবা ফি
দিতে হবে।

(৬) ফোরামের প্রতিটি সভায় প্রত্যেক সদস্যকে
যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে হবে।

(৭) ফোরামের মান ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ করা থেকে
সদস্যকে বিরত থাকতে হবে।

(৮) ফোরামের কোনো সদস্যের সাথে মনোমালিন্য
হলে, তা বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমাধান
হবে।

(৯) যারা সেচ্ছায় একটি সুন্দর সমাজ গঠনে
ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।

(১০) যারা নিজেদের মেধার সর্বোচ্চ বিকাশে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একটি ক্ষুধামুক্ত ও
আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ ও এলাকা গঠনে
বিশেষ ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।

(১১) ফোরাম থেকে সেচ্ছায় বের হয়ে গেলে তার
দেওয়া মাসিক সেবা ফি অফেরতযোগ্য বলে
বিবেচিত হবে।

**ধারা ০৮ সদস্য পদ বাতিলের ও স্থগিতের নিয়মাবলীঃ
(১) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশনের ‘ কোন
সদস্য যদি মানসিক ভারসাম্য হারান। তবে
কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার
সদস্য পদ বাতিলের ক্ষমতা রাখে।(২) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের কোন সদস্য যদি একটানা তিন
মাসের মাসিক ফি প্রদান না করেন। তাহলে
কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার
সদস্য পদ বাতিল বা স্থগিতের ক্ষমতা রাখে।(৩) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের কোন সদস্য সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী
কার্যকলাপে লিপ্ত হলে। তবে এক্ষেত্রে
কার্যনির্বাহী পরিষদ দোষী সদস্যের সদস্য পদ
বাতিলের ক্ষমতা রাখে।

(৪) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের গঠনতন্ত্র ও নিজ স্বার্থের পরিপন্থী
কোন কাজ করেন বা তার স্বভাব আচার-
আচরণ ফোরামের অ-পরিপন্থী হয়। তবে
কার্যনির্বাহী পরিষদ তার সদস্য পদ বাতিল বা
স্থগিতের ক্ষমতা রাখে।

(৫) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের  দায়িত্ব ও কর্তব্য যদি যথারীতি
পালন না করেন বা ফোরামের কাজে নিষ্ক্রিয় ও
অকর্মণ্য হয়ে পরেন।

(৬) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের প্রাসঙ্গিক কারণে কোন সদস্যকে
বহিষ্কার করার এখতিয়ার ফোরামের প্রধান
ব্যক্তিগণ সংরক্ষণ করেন।

(৭) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের কোন সদস্য ফোরামের সংবিধান
পরিপন্থী কোন কাজ করলে কার্যকরী পরিষদের
সভায় তিন চতুর্থাংশের ভোটে তার সদস্যপদ
বাতিল করা হবে।

(৮) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের কোনো সদস্য যদি পর পর দুই
বৈঠকে অনুপস্থিত থাকে তাহলে এক্ষেত্রে
কার্যনির্বাহী পরিষদ  তার সদস্য পদ বাতিল বা
স্থগিতের ক্ষমতা রাখে। তবে এক্ষেত্রে পরবর্তী
বৈঠকে তার অনুপস্থিতির কারণ কার্যনির্বাহী
পরিষদের নিকট উপস্থাপন করতে হবে।

(৯) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের
কোনো সদস্য ফোরাম বহির্ভূত কোন কাজ
করতে পারবেনা। যদি এরকম কোনো ঘটনা
ঘটে, তবে কার্যনির্বাহী পরিষদ তার সদস্য পদ
বাতিলের ক্ষমতা রাখে।

(১০) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ একটি
সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। যদি কোন সদস্য
ফোরামের মধ্যে কোনো রাজনীতিক প্রভাব
ফেলতে চাই, তবে কার্যনির্বাহী পরিষদ তার সদস্য
পদ বাতিল বা স্থগিতের ক্ষমতা রাখে।

(১১) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের যে কোন সদস্য পদত্যাগ করিতে
চাইলে তিনি সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি/সাধারন
সম্পাদক এর নিকট পদত্যাগ পত্র পেশ
করিবেন। কার্যকরী কমিটির সভায় উহা গৃহিত
হইলে উক্ত সদস্যের সদস্য পদ বাতিল হইবে
অথবা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো যাইবে।

**ধারা ০৯ সংস্থার তহবিল সংক্রান্ত বিষয়াবলীঃ

(১) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের  সদস্যদের প্রাথমিক সদস্য ফি এবং
মাসিক সেবা ফি সংস্থার তহবিলের প্রধান উৎস
হিসেবে গণ্য হবে। তবে শুভাকাংখীদের নিঃস্বার্থ
এককালীন দান, অনুদান বা সাহায্যও তহবিলের
উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।

(২) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের  তহবিল হতে অন্য যেকোনো শুভ
উপায়ে অর্জিত অর্থ সংগঠনের তহবিলে যোগ
হবে।

(৩) যথাযোগ্য রশিদ ছাড়া এবং কার্যনির্বাহী কমিটির
সিদ্ধান্ত ব্যতিত অত্র সংগঠনের নামে কোন চাঁদা,
অনুদান বা সাহায্যও গ্রহন করা যাবে না।

(৪) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের  সদস্যদের কল্যাণ ফি, প্রাবাসী,
উপদেষ্টা পরিষদের অনুদান, বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ,
দাতা সদস্যদের ও সংগঠনের অনুদানই হবে এই
সংস্থার আয়ের আরও একটি উৎস।

(৫) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের নির্বাহী পরিষদ সদস্যদের মাসিক ফি
পরিবর্তনের অধিকার সংরক্ষণ করবে। তবে
এক্ষেত্রে ফোরামের সকল সদস্যের মতামত গ্রহণ
করতে হবে।

**ধারা ১০- দাতা ও আজীবন সদস্যঃ
(১) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের সার্বিক কল্যাণ ও ব্যাপক উন্নয়নের
লক্ষ্যে যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রতিষ্ঠানের
তহবিলে এককালীন ১৫,০০০/- (পনের
হাজার) টাকা বা তদূর্ধ্ব সমপরিমাণ মূল্যের
সম্পদ অথবা পণ্য এক কালীন, মাসিক বা
বাৎসরিক ভিত্তিতে প্রদান করবে তাদেরকে
দাতা সদস্য হিসাবে মনোনীত করা হবে।

(২) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’
ফোরামের সার্বিক কল্যাণ ও ব্যাপক উন্নয়নের
লক্ষ্যে যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রতিষ্ঠানের
তহবিলে এককালীন ১০,০০০/-(দশ হাজার)
টাকা বা তদূর্ধ্ব সমপরিমাণ মূল্যের সম্পদ
অথবা পণ্য এক কালীন,মাসিক বা বাৎসরিক
ভিত্তিতে প্রদান করবে তাদেরকে আজিবন
সদস্য হিসাবে মনোনীত করা হবে।

**ধারা ১১- বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিষদঃ
‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’  ফোরামের
সাংগঠনিক পরিষদ নিম্নরুপঃ
১.উপদেষ্টা পরিষদ

২.কার্যনির্বাহী পরিষদ

৩.সাধারণ সদস্য

(১) উপদেষ্টা পরিষদঃ
সমাজের বিশেষ কোন ব্যক্তিবর্গ, আজীবন
সদস্য, দাতা সদস্যদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা
পরিষদ গঠিত হবে। এই পরিষদ ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র
কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের উন্নয়নের
জন্য সাধারণ পরিষদ ও কার্যকরী পরিষদকে
পরামর্শ দাতা হিসেবে কাজ করবেন। এই
পরিষদ সংস্থার বিশেষ কোন অনুষ্ঠান কিংবা
সাধারণ পরিষদ সভায় উপস্থিত থাকবে।
বছরে কমপক্ষে একবার এই পরিষদের সভা
অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিষদ সভায় কার্যনির্বাহী
পরিষদের কর্মকর্তাগনও উপস্থিত থাকবে।
কার্যনির্বাহী পরিষদ উপদেষ্টা পরিষদ বিলুপ্ত
করতে পারবেন।

(ক) কার্যনির্বাহী পরিষদকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করবেন।

(খ) সদস্যদের মধ্যে কোন কারনে মতানৈক্য দেখা দিলে উপদেষ্টা পরিষদ সমাধান করবেন। তবে এক্ষেত্রে সভাপতিকে সভার আহবান করতে হবে।

(গ) সার্বিক পরিকল্পনা প্রণয়নে উপদেষ্টা পরিষদ দিক নির্দেশকের ভূমিকা পালন করবেন।

(ঘ) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের  উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করবেন।

(ঙ) বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ পূর্বক উদ্ভুদ্ব করবেন।

(চ) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’  ফোরামের কল্যাণে পরামর্শ প্রদান করবেন।

(ছ) বৎসরে কমপক্ষে একবার এই পরিষদ সভা করবেন।

(জ) প্রতিষ্ঠানের যে কোন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।

(২) কার্যনির্বাহী পরিষদঃ
এই পরিষদ ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ
এসোসিয়েশনের’ উন্নয়নের জন্য সর্বাধিক কাজ
করবেন। এই পরিষদ সংগঠনের যাবতীয় আয়,
ব্যয়, বাজেট কর্ম-পরিকল্পনার বার্ষিক রিপোর্ট
তৈরী করবেন। কমপক্ষে ৩ (তিন) মাসে একবার                   এই পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

(ক) সাধারন সভা ও বার্ষিক সভা আহবান করা।

(খ) বিশেষ প্রয়োজনে সভাপতির আহবানে জরুরী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা।

(গ) সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যুক্ত স্বাক্ষরে বাস্তবায়িত হবে।

(ঘ) নির্বাহী পরিষদ এ সংগঠনের যাবতীয় কার্যাবলীর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদানকারী ও নীতি নির্ধারক বলে বিবেচিত হবে।

(ঙ) নির্বাহী পরিষদ সংগঠনের সাথে সংগতি রেখে গঠনতন্ত্রে বর্ণিত নেই এমন যে কোন ধরনের আর্থিক সাহায্য প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।

(চ) নির্বাহী পরিষদ সংগঠনের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পরিক্ষা-নিরিক্ষা ও অনুমোদন করবে।

(ছ) সংগঠনের উন্নয়ন ও আয় বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করবে।

(জ) বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করার জন্য সকল সদস্যকে নির্দেশ প্রদান করবে।

☆☆কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন কাঠামোঃ

১.  সভাপতি ১ জন

২.  সহ-সভাপতি ১ জন

৩.  সাধারণ সম্পাদক ১ জন

৪.  সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন

৫.  প্রচার সম্পাদক ১ জন

৬.  সহ-প্রচার সম্পাদক ১ জন

৭. অর্থ সম্পাদক ১ জন

৮. সহ-অর্থ সম্পাদক ১জন

৯. প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১০. দপ্তর সম্পাদক ১ জন

১১. সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১২. সহ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৩. শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৪. সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৫. ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৬. সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৭. সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৮. সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৯. আইন বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

২০. মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

২১. পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

২২. গ্রন্থাগার ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

২৩. নির্বাহী সদস্য ৫ জন

>> ফোরামের উপ কমিটিঃ
১. স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
২. মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

☆☆কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্বঃ
(১) সভাপতিঃ
(ক) সংগঠনের প্রধান হিসেবে বিবেচিত হবেন।
(খ) সংগঠনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
(গ) সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
(ঘ) সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোন প্রস্তাবই অনুমোদিত হবে না।
(ঙ) সভাপতি সভা পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন।
(চ) সংগঠনের স্বার্থে ও কল্যাণে যে কোন প্রকার দায়িত্ব পালন করবেন।
(ছ) কোন সভায় যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম-সংখ্যক ভোট পরলে সভাপতি একটি কাষ্টিং ভোট প্রদান করবেন।
(জ)  বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভা আহ্বান করবেন।
(ঝ) নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের করণীয় ও কার্যাবলী নির্ধারণ করবেন।
(ঞ) সকল প্রকার যোগাযোগ, চিঠি লেখা ও চিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে তিনি স্বাক্ষর প্রদান করবেন।
(২) সহ-সভাপতিঃ
(ক) সভাপতিকে সহযোগিতা করা।

(খ) সভাপতির অনুপস্থিতে দায়িত্ব পালন করা।

(৩) সাধারণ সম্পাদকঃ

(ক) অফিস নির্বাহী হবেন ও থাকবেন। নির্বাহী পরিষদের নিকট সংগঠনের কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দায়ী থাকবেন।
(খ) সকল প্রকার যোগাযোগ, চিঠি লেখা ও চিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে তিনি স্বাক্ষর প্রদান করবেন।
(গ) সংগঠনের কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প প্রস্তাবনা ও বাস্তবায়ন এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের সাথে সমন্বয় সাধন করবেন।
(ঘ) সংগঠনের সকল প্রকার চিঠিপত্র,কাগজপত্র, তথ্য ও দলিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
(ঙ) প্রশাসন,প্রকল্প তৈরি,বাজেট তৈরির কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে সভাপতি কে সহযোগীতা করবেন।
(চ) সুষ্ঠু প্রশাসন ব্যবস্থার স্বার্থে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কর্মচারী নিয়োগ,কর্মচুক্তি ও ছাটাইয়ের চুড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী হবেন।তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
(ছ) সংগঠনের সার্বিক সকল নির্বাহী ও সাধারণ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন। সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট ও বাজেট পেশ করবেন।
(জ) সভাপতির সাথে আলোচনা করে সভা আহ্বানের দিন , তারিখ,সময় ও স্থান নির্ধারনসহ আলোচ্য বিষয়-সূচী উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বিতরণের ব্যবস্থা করবেন।
(ঝ) অর্থ সম্পাদক কর্তৃক মাসিক, ত্রৈমাসিক,বার্ষিক জমা খরচের হিসাব প্রস্তুত করিয়ে নিবেন এবং যথাযথ সভায় অনুমোদন ও পেশ করার ব্যবস্থা নিবেন।

(ঞ) নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।

(৪) সাংগঠনিক সম্পাদকঃ

(ক) সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
(খ) সংগঠনের কার্যক্রমে স্থীরতা প্রকাশ পেলে এর কারণ নির্ণয় করে তা দূরীকরণের জন্য সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনাপূর্বক করণীয় নির্ধারণ করবেন।
(গ) সংগঠনের কোন সদস্যের অনুপস্থিতি বা সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ নির্ণয় এবং সমস্যা সমূহ দেখে সংগঠনের স্বার্থে সবাইকে তা অবহিত করবেন।
(ঘ) সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন।
(ঙ) সংগঠন কোন হুমকির শিকার হলে সেটি সভাপতিকে অবগত করবেন।

(চ) সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান কাজ।

(৫) প্রচার সম্পাদকঃ
(ক) সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য সংগঠন হতে ঘোষিত প্রচারপত্র , পোস্টার এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া প্রচার সম্পাদকের কাজ।
(খ) সংগঠন হতে সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখা সম্পন্ন করে থাকবেন।
(গ) সংগঠনের বাহ্যিক প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
(ঘ) প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ও গোলটেবিল আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।
(ঙ) সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রমের সময় প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন।
(চ) বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সংগঠনের প্রচারনার দায়িত্বও তার অধীনে।
(ছ) সংগঠনের বিভিন্ন খবর পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব।
(৬) সহ-প্রচার সম্পাদকঃ
(ক) প্রচার সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করাই সহ-প্রচার সম্পাদকের কাজ।
(খ) প্রচার সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
(৭) অর্থ সম্পাদকঃ
(ক) সংগঠনের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা,সংগৃহীত অর্থ যাতে সংগঠনের স্বার্থে ব্যয় হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা অর্থ সম্পাদকের মূল কাজ।
(খ) সংগঠনের সদস্যদের হতে মাসিক ফি সংগ্রহ,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ হতে অনুদান গ্রহণ তার দায়িত্ব।
(গ) তিনি সংগঠনের অর্থের ভবিষ্যৎ উৎস চিহ্নিত করে নির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করবেন।
(ঘ) বার্ষিক অর্থনৈতিক রিপোর্ট করবেন এবং অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সভায় পেশ করবেন।
(ঙ)  সংগঠনের সকল প্রকার আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
(চ) সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।
(ছ) সংগঠনের জমা খরচের হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে অর্থ সম্পাদক সাধারণভাবে দায়ী থাকবেন।
(৮) সহ-অর্থ সম্পাদকঃ
(ক) অর্থ সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করা।

(খ) অর্থ সম্পাদকের অনুপস্থিতে তার দায়িত্ব পালন করবে।

(৯) প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকঃ

(ক) সংগঠনের স্বার্থে প্রকাশনা তার দায়িত্বে থাকবে।
(খ) প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখার কাজে প্রচার সম্পাদককে সাহায্য করবেন।

(গ) সংগঠনের প্রকাশনার প্রধান দায়িত্ব তার নিকট ন্যস্ত।

(১০) দপ্তর সম্পাদকঃ
(ক) সংগঠনের সমস্ত তথ্য, রিপোর্ট,চিঠিপত্র,দপ্তর ও সংস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সংরক্ষণ করবেন।
(খ) সকল সভা কার্য দিবসের নোটিশ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি সাপেক্ষে সকল সদস্যকে অবহিত করবেন।
(গ) সংগঠনের বিভিন্ন সভা/অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তি/অতিথীদের বক্তব্য/মতামত লিপিবদ্ধ করে প্রেস রিলিজ আকারে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন।
(ঘ) সংগঠনের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন।
(১১) সমাজসেবা বিষয়ক  সম্পাদকঃ
(ক) মানুষের সাথে পরিচিতি বাড়াবেন।
(খ) সমাজের নানা অসঙ্গতি সংগঠনের সভায় তুলে ধরবেন।
(গ) সমাজের জন্য কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যনির্বাহী পরিষদকে সহায়তা করবেন।
(১২) সহ-সমাজসেবা বিষয়ক  সম্পাদকঃ
(ক) সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করাই সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের কাজ।
(খ)  সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
(১৩) শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ
(ক) শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।
(খ) শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা পালন করবেন।
(১৪) সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ
(ক) শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করাই সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের কাজ।
(খ) শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
(১৫) ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকঃ
(ক) সংগঠনের ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
(খ) ক্রীড়ার উন্নয়নে যেকোনো পরামর্শ সভায় পেশ করবেন।
(১৬) সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকঃ
(ক) ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করাই সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের কাজ।

(খ) ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

(১৭) সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকঃ
(ক) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।

(খ) বিভিন্ন ঐতিহাসিক দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিবেন।

(গ) ধর্মীয় সংস্কৃতি সমূহ সুন্দরভাবে পালনে উদ্যোগ নিবেন।

(ঘ)  ম্যাগাজিন, লিফলেট, প্যাড ইত্যাদি প্রকাশ করা এবং গ্রন্থনা করা তার প্রধান কাজ।

(ঙ) বাংলা সাহিত্য উন্নয়নে করণীয় বিষয়াবলী সভায় তুলে ধরবেন।

(১৮) আইন বিষয়ক সম্পাদকঃ
(ক) সংগঠনের আইনবিভাগ পরিচালনা করবেন।

(খ) সংগঠনের সদস্যগণ গঠনতন্ত্র মেনে চলছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

(গ) সংগঠন কোন আইনসংক্রান্ত নোটিশ পেলে তা সভাপতিকে অবহিত করবেন।

(১৯) মহিলা বিষয়ক সম্পাদকঃ
(ক) দুস্থ,নিরক্ষর,অসহায়,নির্যাতিত মহিলাদের সংগঠিত করবেন এবং তাদের সম্পর্কে পরিষদকে অবহিত করবেন।

(খ)  কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মহিলা বিষয়ক গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত থাকবে।

(২০) পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকঃ
(ক) দুআলোকবর্তিকার পরিবেশবান্ধব কর্মসূচী পরিচালনা করবেন।

(খ) দেশে সংগঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে পরিষদকে অবগত করবেন।

(২১) নির্বাহী সদস্যঃ
(ক) সাংগঠনিক যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।

(খ) কার্যনির্বাহী কমিটির সকল কাজে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা সদস্যদের প্রধান কাজ।

(গ) বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিতে থাকা ও কাজ করা।

              (৩) সাধারণ সদস্যঃ
সাধারণ সদস্যদের যোগ্যতা ৭ (সাত) ধারা
মোতাবেক করা হবে। সংগঠনের সকল
সদস্যদের নিয়ে বৎসরে কমপক্ষে ২ (দুই) টি
সভা অনুষ্ঠিত হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের
সভাপতি/সাঃসম্পাদক সভার কাজ
পরিচালনা করবেন।

**ধারা ১২ সভার ফোরামঃ
কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়, সভাপতি সহ ৫ (পাঁচ) জন সদস্যদের উপস্থিতিতে ফোরাম হবে। মূলতবী সভার জন্য কোন ফোরামের প্রয়োজন হবে না। সাধারণ সভা ১০ (দশ) জন সদস্যদের উপস্থিতিতে ফোরাম হবে।

**ধারা ১৩ নির্বাচনঃ
(১)নির্বাচন পদ্ধতিঃ
(ক) উপদেষ্টা পরিষদের তত্ত্বাবধানে একটি অস্থায়ী নির্বাচন কমিটি গঠন করে সদস্য সমুহের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে। নির্বাচনে দায়িত্বরত সদস্য কারো পক্ষে ভোট এবং প্রচারণা করতে পারবেনা।

(খ) যেকোনো সদস্য ভিবিন্ন পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবে।

(গ) সদস্যদের মধ্যে যারা প্রার্থী হবে তাদের নির্বাচনের ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে অস্থায়ী নির্বাচন কমিটি বরাবর আবেদন করতে হবে।

(ঘ) একজন সদস্য একই সাথে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মনোনয়ন পেতে পারবে। তবে যদি দুটি পদেই একই ব্যাক্তি জয়লাভ করে তবে, উক্ত ব্যক্তির পছন্দের পদটি তাকে দেয়া হবে। এবং অন্য পদের জন্য দ্বিতীয় ব্যক্তি সয়ংক্রিয় ভাবে নির্বাচিত হয়ে যাবে।

(ঙ) নির্বাচন প্রক্রিয়া সচ্ছ হতে হবে, এবং তা ব্যালটের মাধ্যমে হতে হবে।

(চ) কোনো পদের বিপরীতে একের অধিক প্রার্থী না পাওয়া গেলে তিনিই বিনা ভোটে নির্বাচিত হবে, কিন্তু কার্যকরী পরিষদ চাইলে যে কোনো সদস্য কে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিবে। এবং ঐ সদস্য তা মেনে নিতে বাধ্য থাকবে।

(ছ) একবার নির্বাচিত সভাপতি দুইবারের বেশি সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেনা।

(জ) কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ থাকবে ২ (দুই) বছর।

(ঝ) কার্যনির্বাহী পরিষদের অধীনে ফোরামের উপ কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুধুমাত্র কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ এখানে ভোটাধিকার সংরক্ষণ করার অধিকার রাখে। ফোরামের উপ কমিটির মেয়াদ থাকবে ১ (এক) বছর।

(২) পদ শূন্য হওয়া ও পূরণ করাঃ
ক) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি বা শাখা কমিটির কোন কর্মকর্তা ও সদস্য স্ব স্ব কমিটির পরপর চারটি সভায় উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য একটি চিঠি প্রদান করতে হবে। উক্ত চিঠি প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/সদস্য উপযুক্ত কারণসহ জবাব দিবেন। জবাব সন্তোষজনক না হলে কমিটি তার পদ সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করতে পারবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষেত্রে পদ স্থগিতের তারিখ থেকে ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে বিশেষ কাউন্সিল সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শাখার ক্ষেত্রে ৩০ (এিশ) দিনের মধ্যে শাখা সদস্যদের একটি সাধারণ সভায় স্থগিত পদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিকে তা অবহিত করতে হবে।

খ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা বা সদস্যের মৃত্যু, পদত্যাগ, বহিষ্কার বা অন্য কোন যুক্তিসংগত কারণে পদ শূন্য হতে পারে। কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির শূন্যপদ ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদ কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে  একটি সভার আয়োজন করবে। এবং কার্যনির্বাহী সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শূন্য পদ পূরন করতে হবে।

গ) শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির কোন কর্মকর্তা বা সদস্যের মৃত্যু, পদত্যাগ, বহিষ্কার, বদলী বা যুক্তিসংগত অন্য কোন কারণে পদ শূন্য হলে ৩০ (এিশ) দিনের মধ্যে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে । স্ব স্ব শাখার সাধারণ সদস্যদের সভায় তা অনুমোদিত হতে হবে, যা কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটিকে অবহিত করতে হবে।

**ধারা ১৪ উদ্দেশ্যঃ
(১) প্রধানত সামাজিক ও শিক্ষা কর্মকাণ্ড পরিচালনা
করবে।

(২) এলাকাবাসির মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের
প্রত্যয় সৃষ্টি করা।

(৩) এলাকার গরীব, অসহায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের
পড়া লেখা চালিয়ে যেতে সহায়তা বা উদ্ভুদ্ব করা ।

(৫) ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও সৃজনশীলতার সর্বাধিক
বিকাশের লক্ষ্যে তাদেরকে প্রণোদিত ও সংগঠিত
করা ও মেদাবী ছাত্র ছাত্রীদেরকে উপবৃত্তি প্রদান
করা।

(৬) রমজান মাসে অসহায় গরিবদের মাঝে ইফতারি
সামগ্রী বিতরন করা ও ইফতার মাহফিলের
আয়োজন করা।

(৭) “ঈদ উৎসব” ঈদের আগের দিন অসহায় গরিবের
মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা।

(৮) সমাজের সবার মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা বোধ
সৃষ্টি করে সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে
তোলা।

(৭) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’  ফোরামের
প্রতিটি সদস্যকে কাজের মাধ্যমে সফল, স্বয়ংক্রিয়
ও স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ক্ষমতায়িত করা।

(৮) শিশু কল্যাণঃ এলাকার গরীব শিশু-কিশোরদের
অক্ষরদান দেয়ার জন্য গণশিক্ষা কেন্দ্র/পাঠাগার
প্রতিষ্ঠা করা এবং বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা
সৃষ্টি করা।

(৯) সমাজে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের
সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

(১০) মাদক মুক্ত এলাকা গড়তে প্রশাসনকে সহযোগিতা
করা।

(১১) সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ হইতে জনগণকে
বিরত রাখিবার উদ্দেশ্যে চিত্ত-বিনোদন ও
সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর ব্যবস্থা করা।

(১২)  যে কোন সেবামূলক কাজে জনগনকে উদ্ভুদ্ব করা
এবং জনগনকে সেবামূলক কাজে সহযোগিতা
করা। এমনকি খাদ্য দ্রব্যকে বিষ মুক্ত রাখা ও
কৃষকদেরকে কেমিক্যাল ব্যতিত ফসল
উৎপাদানের ব্যপারে পরামর্শ দেয়া।

(১৩) সরকারের উন্নয়ন মূলক সংস্থা সমূহের সহায়ক
শক্তি হিসাবে কাজ করা। গণ-শিক্ষা গ্রহণে
বয়স্কদের উদ্ভুদ্ব করা, উন্নত প্রযুক্তির কৃষি, মৎস্য
চাষ, হাঁস মুরগী পালন, হস্ত ও কুটির শিল্প স্থাপন,
হেচারী ও নার্সারী সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্মন্ধে
গ্রামবাসীর মধ্যে জ্ঞান দানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট
উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে আমন্ত্রন করা এবং সভা
ও সেমিনারের আয়োজন করা।পরিবার
পরিকল্পনার মাঠকর্মীদের সাথে সমন্বয় সাধন করে
পরিকল্পিত পরিবার গঠনে জনগনকে উদ্ধুদ্ধ করা।

(১৪) দেশের দুর্ভিক্ষ, বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, ভূমিকম্প,
মহামারী, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, সকল প্রকার
প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে দুঃস্হ, ও
ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে এগিয়ে যাওয়া শীত বস্র
বিতরন এবং তহিবল বৃদ্ধি ও সংরক্ষনার্থে দান।

**ধারা ১৫ অন্যান্যঃ
‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের বিভিন্ন সাংগঠনিক কাঠামো নিম্নরুপঃ

(১) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের
সকল সদস্যের বিপদ-আপদে সংস্থার নির্বাহী
পরিষদসহ সবাই এক অপরের পাশে থাকার চেষ্টা
করবে।

(২) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের
সকল সদস্য সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট
থাকবে।

(৩) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের
নির্বাহী পরিষদসহ সকল সদস্যের নিঃস্বার্থভাবে
কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে।

(৪) ‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের
কোন অভিযোগ, অনুরাগ থাকলে পরামর্শের জন্য
কার্যনির্বাহী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করতে
হবে।

(৫)’স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের
সদস্যদের মধ্যে কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকা
যাবে না, যা সংস্থার বিরূপ প্রভাব ফেলে।

**ধারা ১৬ অনুষ্ঠানাদিঃ
‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ সম্ভব হলে বছরে একটি হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা, এ্যাডভেঞ্চার ট্যুর, বার্ষিক পুর্নমিলনী, ইফতার মাহফিল, বিভিন্ন উদযাপিত দিবস, সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা, ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে পারস্পরিক পরিচিতি, সৌহার্দবোধ, বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টিই অনুষ্ঠানাদির মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।

**ধারা ১৭ সংবিধান সংশোধনঃ
‘স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন’ ফোরামের সংবিধান সংশোধন করা যাবে। তবে নিম্নের বিষয় গুলো মনে রাখতে হবে।
(ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ সংশোধনী বিষয়টি সাধারণ সদস্যের নিকট উপস্থাপন করবেন।
(খ) উপস্থিতি সদস্যের অধিকাংশের মতামত গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে তা পাশ করতে হবে।
(গ) পরবর্তীতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যুক্ত স্বাক্ষরে বিষয়টি যুক্ত বা বাতিল করা যাবে।

© All rights reserved 2018-24 ||
স্বপ্নছায়া ছাত্র কল্যাণ এসোসিয়েশন
||একটি স্বপ্নছায়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত ফোরাম
Developed by Ucchasha IT.